গল্পটা সুখের হতে পারত!

কষ্ট (জুন ২০১১)

তমসা অরণ্য
  • ২৫
  • 0
  • ১১
“এক্সকিউজমি আপু, আপনার সাথে কিছু কথা শেয়ার করতে পারি?”
তনয়া কিছুটা অপ্রস্তুত!
“বলুন।”
তারপর সেই মিনিট্রাকে থাকা বিশাল হার্টে লেখা, “ফাগুণের আগুন জ্বলুক প্রতি প্রাণে, ভালবাসার গানে গানে।”
কেন লিখতে গেল তনয়া? ভেবে ভীষণ রাগ হতেই ফিক করে হেসে ফেলল। অমন ছেলেমানুষী কেন হল আজ! কি করলি সারাদিনে আজ? ভ্রু নাচিয়ে, সপ্রশ্ন দৃষ্টি ঝুলিয়ে অমনটাই জিজ্ঞাসা সবার। এই টাইপ কিছু মানুষ আছে, বুকে রাজ্যের দুঃখ আর ভালবাসা জমিয়ে জীবনের আনন্দবহুল আয়ুটা কমিয়ে দেয়। তনয়া ঐ দলের ভ্যাঁনগার্দ। ঐ... বাংলায় বললে যা দাঁড়ায়, সম্মুখ সারির যোদ্ধা আর কি! দু’তিনটা নামকরা মিডিয়ার আয়োজনে ওরা খুঁজছিল “ভালবাসা দিবসের সেরা জুটি”।
রাত বাজে ১০.০৫, রোজকার নিয়ম ভেঙ্গে ১০টার পর কল রিসিভ করায় অবাক ভাল লাগা নিয়ে অনেক কথা বলে অবশেষে ফোন রাখল আপন। হাসি হাসি মুখ করে টিভির স্ক্রিণে চোখ রাখতেই, নকিয়ার ডেসটিনি রিংটোনটা ট্যাওট্যাও ট্যাট্যাট ট্যাও শব্দে.. ভীষণ রকম চিৎকার করতেই কেন যেন খট করে রিসিভ করল কলটা! পর পর দু’বার এরকম! তখন কিছুই মনে হয়নি তনয়ার।
“তনয়া বলছেন?”
“জ্বী, বলছি।”
“ঢা.বি.র স্টুডেন্ট?”
“হুম..”
“কোন ডিপার্টমেন্ট?”
“কেন? কি দরকার?”
“এতক্ষণ ধরে ট্রাই করছি.. নাম্বার বিজি! কার সাথে কথা বলছিলেন?”
“কে আপনি? কি জন্যে ফোন করেছেন বলুন তো!”
“আপনি আজ কোথাও কিছু লিখেছিলেন, মনে আছে? বলতে পারবেন?”
“আমি..? লিখেছি...! ও হুম, মনে পড়েছে! উম.. ফাগুণের আগুন জ্বলুক প্রতি প্রাণে, ভালবাসার গানে গানে।”
“কেন লিখেছিলেন? কার জন্যে? ম্যাসেজটা কাকে দিতে চেয়েছিলেন?”
“উম, বিশেষ কাউকে নয়; আসলে একে ফাগুণ মাস, আবার ভালবাসা দিবস তাই সবাইকেই ভালবাসা জানাতে চেয়েছি। আর ট্রাকের সাথে যে ভলান্টিয়ার ছিল, সে আমায় বলেছিল.. ভালবাসার মানুষের জন্যে ম্যাসেজ লিখতে। বাবা-মাকেও লেখা যাবে বলেছিল, তাই কি ভেবে যেন লিখলাম!”
“আপনাকে যদি বলা হয়, কাল সকাল ৬ টায় চ্যানেল এ’তে আপনার পার্টনারকে নিয়ে আসতে; পারবেন?”
“আ-আমি? আমি আসতে যাব কেন!”
“কারণ, আপনার লেখাটি ঢা.বি., জা.বি.র মত পাবলিক ভার্সিটিসহ সারা বাংলাদেশের বেশ কিছু লোকেশনে মিনিট্রাকে থাকা বিগ হার্টে লেখা সেরা তিনটি ভালবাসার ম্যাসেজের মধ্যে একটি বলে সিলেক্টে করা হয়েছে।”
“কিন্তু আমার তো কোন বয়ফ্রেন্ড নেই!”
“আজব! তো লিখেছিলেন কেন? ব্রুশিয়ারটি পড়েননি?”
“ঐ যে বললাম, ছেলেটি বলছিল.. বাবা-মার প্রতি ভালবাসা হলেও...”
“ছেলেটির চেহারা আপনার মনে আছে?”
“নাহ, আমি তো তাঁর মুখের দিকে তাকাইনি।”
“আচ্ছা, তাইলে কাউকে বয়ফ্রেন্ড সাজিয়ে আনেন। চাইলে আমাকেও সাজাতে পারেন। নয়ত আপনার বাবাকেই নিয়ে আসেন।”
“না, না, তা কেন? ওখানে বুঝি বাবাকে নিয়ে যাওয়া যায়!”
“তবে? দু’জন বিখ্যাত ব্যক্তি আপনার সাথে গল্প করবে, আকর্ষণীয় গিফট আছে.. আসবেন না!”
“স্যরি, ওসব আমার লাগবে না। এত এত জনের ভেতরে সেরা তিনে আমার ম্যাসেজটি আছে, এই অনেক পাওয়া। আমার বদলে.. আমার ক্যাম্পাসের অন্য কোন জুটিকে অফারটা দিলে, ওদের ভালবাসা দিবসটা বেশ স্মরণীয় হবে।”
“অদ্ভুত তো!”
“হুম, হয়ত.. আমি অনেকটা তাই-ই...”
“বয়ফ্রেন্ড নেই আবার! একে তো ঢা.বি.র মেয়ে.. তারপর এতক্ষণ ফোন বিজি থাকা... এসবের মানে কি বলেন?”
“রিয়েলি আমি এসবে নেই। স্যরি, অফারটা অন্য কাউকে দিলেই খুশি হব।”
“আচ্ছা, না আসেন; পোগ্রামটা দেখেন, চ্যানেল এ’তে দেখাবে আজ। আমিও থাকব ওখানে.. মাথায় ক্যাপ, গায়ে স্পন্সরদের দেয়া রেড টি-শার্ট।”
“হুম, দেখব। ধন্যবাদ।”
বাবা-মার সাথে বেশ হাসিমুখে ব্যাপারটা শেয়ার করে ঘুমিয়ে পড়ল তনয়া। পরদিন কি মনে করে যেন তড়িঘড়ি করে ঘুম থেকে ওঠা! তারপর টিভি অন করে ৫.৪৫ থেকে ৮টা পর্যন্ত বসে রইল.. কই কোন ভ্যালেন্টাইন ডে স্পেশাল পোগ্রাম হল না তো! দে ছুট শোবার ঘরে.. এই যাহ, পোগ্রাম তো সন্ধ্যা ৬টায়! ধুস ছাই, দিলাম সাধের ঘুমটা মাটি করে। হয়নি, খুব সচেতনভাবে দেখতে চেয়েছিল বলেই আর ঐদিন দেখা হয়নি। কি করে হবে? বিকেলে সাভারের বংশাই নদীতে নৌকোয় ঘোরার প্ল্যান ছিল যে বাসার সবার! জলের ছলে ভেসে.. অনেক খুশি শেষে... ওরা বাড়ি ফিরল। কোথায় রইল সেই চ্যানেল এ’র পোগ্রাম.. পরদিন আবার ফোন! ট্যাওট্যাও ট্যাট্যাট ট্যাও..
“হ্যালো, কে বলছেন প্লিজ?”
“বাহ, এর মধ্যে ভুলে গেলেন! দেখেছিলেন পোগ্রামটা?”
“ও আপনি! না, দেখা হয়নি। তবে বোকার মত ভোরে উঠে টিভির সামনে বসে ছিলাম চ্যানেল এ দিয়ে। পরে দেখি, পোগ্রাম সন্ধ্যা ৬টায়! হা হা হা.. কি বোকামি বলুন তো?”
“আমি কাল যাইনি। কেমন আছেন?”
“ও! ভাল। আপনি?”
“আছি। আমি আপনার সাথে যদি মাঝে মাঝে কথা বলি, বলবেন?”
“আমার সাথে! কেন?”
“এমনি.. ভাল লাগে তাই।”
“স্যরি, ইটস ইম্পসিবল!”
এরপর যা হয় আর কি। ছেলেটি রিকোয়েস্ট করেই যাচ্ছে.. তনয়াও না করে দিচ্ছে... তারপর ছেলেটির নানা ইমোশনাল কথাবার্তা, তনয়ারও পালটা নির্লিপ্ত যুক্তি-বুদ্ধির কথা। কি করে কথা বলবে তনয়া? ওর মন যে অন্যখানে বাঁধা। এক ধূপকে ছাড়া আর কাউকে যে ও ভালবাসতে পারবে না। যেদিন ধূপের কথা বাসায় রেগে মেগে ভাইয়া চিৎকার করে সবাইকে জানিয়েছিল, বলেছিল ও হিন্দু; সেদিন থেকে তনয়ার জীবনে বয়ে গেছে কাল-বৈশাখী ঝড়ের প্রলয়ংকরী উদ্দামতা। আর তাতে টালমাটাল হল ওর সাজানো পৃথিবী। তবু পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে, দু’তিনদিন কথা হয় ছেলেটির সাথে। শান্ত তাঁর নাম, জা.বি.র বাংলা সাহিত্যের ছাত্র। কি পাগল ছেলেরে বাবা, এরই মধ্যে মাকে বলে ফেলেছে! দেখা করার জন্যে এতটা পাগলামি, এতটা আপ্রাণ রিকোয়েস্ট.. ওহ গড, একটু শান্তি দাও! মানুষের হৃদয় ভাঙ্গা যে কত কষ্টের তা তনয়া ছাড়া আর কে জানে! অবশেষে সিদ্ধান্ত হল, দেখা হবে জা.বি.র প্রান্তিক গেইটে। ঝড় কাকের মত অবস্থায় গেট থেকে কিছুটা সামনে দাঁড়িয়েছিল শান্ত। ওদিকে তনয়াকে ফোনের পর ফোন, ম্যাসেজের পর ম্যাসেজ দিয়েই যাচ্ছে। কি বলে বের হবে তনয়া! বড়পার বাসায় যাবে? মিথ্যে তো বলতে পারে না। সর্বনাশ! দুপুরে বড়পার ল্যান্ডফোনে মায়ের কল যাবে- তনু তোদের ওখানে ভাত খেয়েছে, তানি? কি হবে তবে? আইডিয়া! দ্রুত জা.বি.তে যেয়ে তারপর দেখা করে সব খুলে বলেই.. দে ছুট বড়পার বাসায়, ইয়েস! ওহ, কি পাগল রে বাবা.. কল করেই যাচ্ছে!
“হ্যালো, ওয়েট.. এই তো এসে গেছি প্রায়...”
তারপর আর কি! দেখা হল, কথা হল.. খাওয়া-দাওয়া হল... গতানুগতিক প্রায় সবই হল। হল না কেবল রোমান্টিক কথা বলা, কেবলই “ভালবাসি” ছাড়া। শান্তর আবেগী সেই কাঁপা গলার জড়িয়ে জড়িয়ে বলা ধ্বনি ক’টা কি যেন কি ওলোট-পালোট করে দিতে চায়! কিন্তু ধূপের জন্যে যে অবাধ ভালবাসা, তার সাথে এ পারবে তো! সেদিন পারেনি। ভীষণ জেদী মেয়ে তো.. সারাটা পথ হেঁটে হেঁটে কোথাও এক ফোঁটা না বসে সবটা বলে শেষ করেই দে ছুট গন্তব্যে। তনয়া চলে যাচ্ছে.. কোন রকম পেছন না ফিরেই। শান্ত চেয়েছিল আরো কিছুক্ষণ ওকে পাশে রাখবে, মুগ্ধ হয়ে দেখবে। জোরও করেছিল; কিন্তু.. ভীষণ ঘৃণাময় দৃষ্টির দু’চোখে ধূপের জন্যে ভালবাসা দেখতে পেয়ে.. পারেনি। যা ওরই নয়; তা ধরে রাখতে চাইলেই কি রাখা যায়? এ ক’দিনেই বুঝে গেছে, ভীষণ জেদী, একরোখা আর ভাল মেয়ে তনয়া। মিথ্যে বলা রীতিমত ঘৃণা করে, নিজেও বলে কম! আহামরি সুন্দরী নয়; আবার হেলাফেলা করার মত অসুন্দরও না। কোথায় যেন কি একটা অপ্রকাশিত সৌন্দর্য আছে ওর ভেতরে। কি যেন একটা..! কিন্তু কি যে.. শান্ত নিজেই বোঝে না। শুধু বুঝে গেছে, ওকে ছাড়া চলবে না। চলার পথে আর কোন মেয়েকে তো এভাবে নিজের করে পেতে ইচ্ছে হয়নি কখনো! ওহ, সে কী কষ্ট! কোথায় কে জানে! বুকের ভেতরে? খুব কি গহীনে.. অন্ধকারে...? শান্ত কেঁদেছে শিশুর চেয়েও অসহায়ভাবে, উন্মাদের চেয়েও অপ্রস্তুত ভঙ্গিতে। তনয়া দেখেনি, পরে ফোনে ওর কান্না শুনে.. তনয়া কি কাঠ? নাকি পাথর? কি করে পারল! পারেনি। বাসায় ফিরে গিয়েছিল ঠিকই, তবে.. কোনদিন শান্তর না হবার জন্যে নয়; বরং ধূপকে ভুলে শান্তর হবার জন্যেই। শান্তর সাথে ভালই চলছিল। রোজ ফোনে কথা, ম্যাসেজ চালাচালি, লেখাপড়ার কথা, ভবিষ্যতের কথা ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু মাঝে যে কি হল! শান্তর কাজিনের বিয়েতে গ্রামে যাবার দু’দিন পর.. হঠাৎ তনয়ার মোবাইলে ম্যাসেজ--
“তনুজান, আমার এক ফ্রেন্ডের মার অপারেশন। কিছু টাকার শর্ট পড়েছে। আমি তো ঢাকায় নাই! তুমি যদি ৫০০০ টাকা ম্যানেজ করে নিচের ঠিকানায় কাল সকালেই পাঠানোর ব্যবস্থা কর, আমি এসেই তোমার টাকা পে করে দেব। প্লিজ, ও আমার মাকে রক্ত দিয়ে বাঁচিয়েছিল। এখানে আম্মাও অসুস্থ হয়ে পরছে।”
দিয়েছিল তনয়া। কিন্তু তারপর.. কো-ইন্সিডেন্টের পর কো-ইন্সিডেন্ট! শান্ত আর আসে না। ক’দিন পর পর টাকা চায়! তনয়া এক ফ্রেন্ডের কাছে থেকে টাকা নিয়ে দু’মাসেও আর রি’পে করতে পারল না। ক’টা টাকার জন্যে বন্ধুর কাছে ছোট হয়ে ভীষণ ক্ষেপে গেল ও। কেন এমন করছে শান্ত? ও কি মাদকাসক্ত? নাকি ঠগবাজ? নাহ, এভাবে কিছুতেই চলতে পারে না। ধূপের চেয়ে ও কোন অংশেই বেটার না; না কথা-বার্তায়, না আচরণে, না চলাফেরায়.. কিছুতেই না। মুখে কেবল গালি, স্যাং ল্যাঙ্গুয়েজ, সিগারেট খাওয়া, মারকুটে রাজনীতি করা, ক’দিন পর পর নিত্য-নতুন অজুহাতে টাকা চাওয়া.. গড! কি করে এই ছেলের জন্যে ধূপের মত মানুষকে ভুলতে চাইছে তনয়া? কি করে! ভাবতেই নিজের প্রতি কেমন অশুচিবোধ হয় ওর। মেয়ের জাতটা কেন যে মায়ের জাত হয়ে জন্মায়! কেন একটা মানুষের দোষ-ত্রুটি জেনেও, বুঝেও.. মানুষটা ভাল হোক চাইতে পারে, তাঁর চেয়ে বেটার মানুষকে ভোলার বৃথা চেষ্টা করার কথা ভাবতে পারে? অবাক লাগে তনয়ার, ভীষণ রাগও হয়। কেন ওর বেলাতেও এমনটি হল? দুনিয়ার সব বেপথু মানুষকে ভাল করার দায় কি একা ওর? কেন চোখের সামনে কারো নষ্ট হয়ে যাওয়া সহ্য হয় না? ওহ, অসহ্য সব! না, আর কারো কথা ভাববে না ও। ভাববে শুধু নিজের কথা। অনেক ভেবেছে পরিবার-পরিজন, সমাজ-সংসার, ধর্ম-কর্ম, মানুষ-মানবিকতা নিয়ে। কই, কেউ তো ওর কথা ভাবেনি! পরিবার ভাবল, হিন্দু-মুসলিম ভালবাসা! সমাজ কি ভাববে? সমাজ ভাববে, ঘোর অধর্ম। কিন্তু কেউ কি ওর মনের কথা ভেবেছে? ভালবাসে বলেই কি.. ধূপের হাত ধরে পালিয়ে যেত? বাবা-মা-ভাইয়া কেন আজো চেনেনি ওদের মেয়েকে, কেন রাখেনি তাঁর মনের খোঁজ! আর কেউ না জানুক; তনয়া-ধূপ জানে, ওরা কখনো বাবা-মাকে কষ্ট দিয়ে কিছু করত না, করত না সমাজে তাঁদেরকে ছোট। এমনটিই কমিটমেণ্ট ছিল ওদের। বাহ্যিক দূরত্ব আর মানসিক নৈকট্য ওদেরকে যে কি ভীষণ শক্তিশালী করে তুলেছিল! প্লেটনিক প্রেমের চেয়েও যেন অন্য কিছু আছে তাতে! এমন ভালবাসা.. যে চায় না শরীরী তৃপ্তি, শুধু চায়-- দু’জনেই যেন ভালবেসে যেতে পারে দু’জনকে। তনয়া এখন জানে, সরলরেখার বক্র বক্র ভাবটাই পরিবর্তিত বন্ধুত্বের স্বভাব। তাই সবাইকে দূরে সরিয়ে রাখে। নিজের সাথে তাই চায়নি তৃতীয় কারো হৃদয় জড়িয়ে তাঁকে দুঃখি করতে। ও তো জানে, হৃদয় ভাঙ্গার কি সুখ! তবু মানুষ তো! ঐ যে কথায় আছে না, “ম্যান প্রোপজেস, গড ডিস্পোজেস”, তাই হয়; হল। ভাল কোনদিনও শান্তকে বাসেনি তনয়া; আজ বোঝে। কিন্তু.. সমব্যথি হয়ে ভালবাসার চেষ্টার মোহে পড়ে.. সব যেন গোলমাল হয়ে গেল। শান্ত যা.. তাতে তো... এমনটা করার ওর কথা না! বাহ্যিক কিছু খারাপ ব্যাপার থাকলেও, সে তো সঙ্গদোষে। অন্তরটা তো একেবারে খারাপ নয়! তবু পারছে না তনয়া। একদিকে ধূপের সব ভাল আর ভালবাসা; অন্যদিকে শান্তর খাপছাড়া অথচ কোথায় যেন নিবিড় ভালবাসা (নাকি মোহ!), অদ্ভুত সব কাজ-কারবার ক্লান্ত করে তুলেছে যেন ওকে।
“তুমি এত ভাল কেন, তনু?”
“আহ, কি হচ্ছে কি শান্ত? কাইন্ডলি এ ধরণের কথা বল না তো!”
“বিশ্বাস কর, আমি বুঝি না কেন তোমায় ভোলা আমার পক্ষে সম্ভব না। কই, গত জীবনে তো তুমি ছিলে না! তবে আজ কেন তুমি নেই, থাকবে না.. তুমি ওই বা**ত ধূপকে ভালবাস; আমায় কোনদিনও বাসোনি জেনে, বুঝে পৃথিবী ছোট হয়ে আসতে চায়? কেন?”
“ছিঃ শান্ত, ঘেন্না হয় তোমার গালাগাল শুনে। ধূপের মত মানুষের নাম তোমার মুখে মানায় না। ইমোশনাল কথা শুনতে আমার অস্বস্তি লাগে। আর কিছু বলবে?”
“কাল দেখা করবে, তনু?”
“ওকে, তোমাদের ডেইরী গেইটে থেকো। বাট অনলি টুয়েন্টি টু থার্টি মিনিটস, ডান?”
“থ্যাঙ্কস, তনু!”
দুপুরে বৃষ্টি এসে সব পন্ড করে দিল। মেজাজটা খিঁচরে আছে তনয়ার। কেন যে টুকু-মিনা-তানিম-তিয়াসা-নঈমাকে কড়া একটা “না” শুনিয়ে দিতে পারল না! ক্লাস শেষে দিব্যি তো ডিমার্টমেণ্ট থেকে ছাতা ফুটিয়ে সাভারের বাস ধরতে যাবে, অমনি বাঁদর তানিমটা ছাতা নিয়ে দে ছুট.. আর বাকি বদ্গুলো মিলে হা হা হি হি করে দাঁত কেলাতে কেলাতে দিল জল-কাঁদায় ভিজিয়ে। ওদিকে আর একজন মোবাইলে কল দিতে দিতে মাথা খারাপ করে দিচ্ছে! কি করে ধরবে টুকু-মিনাদের সামনে?
“কি রে, কলটা ধরিস না ক্যান?”
“ধরে কি হবে? ভাইয়ার কল। বলবে, তাড়াতাড়ি বাসায় আয়.. জানি তো!”
“ধর, বল আমাদের সাথে ভিজছিস। কিছু বলবে না।”
ও রে বাবা, ধূর দেই একটা ম্যসেজ করে। “এত তাড়া কিসের? ওয়েট।” তৎক্ষণাত রিপ্লাই-- “আমি ডেইরী গেইটে ওয়েট করছি। তাড়াতাড়ি আসো।”
“এই শোন, অনেক তো মোজ-মাস্তি হল রে.. এবার তোরা হলে যা, আমিও বাসায় যাই। দু’দিন পর ফাইনাল পরীক্ষা.. জ্বর বাঁধানো ঠিক হবে? আমার তো জ্বর আসছে...”
“হ্যাঁ রে, টুকু-তানিম আমাদেরও.. চল যাই... আমাদের তোরা দু’টা রিক্সা করে দে, ভেজা কাপড়ে হেঁটে যেতে অস্বস্তি লাগবে।”
হা মরণ, অভাগা যেদিকে চায়, সাগর শুকায়ে যায়! কোথাও একটা রিক্সা যদি ঐ টাইমে খালি থাকে! দেখতে দেখতে আরো আধা ঘন্টা পার হয়ে গেল। কোন রকমে ওদেরকে ফাঁকি দিয়ে ওখান থেকে তনয়া ছাড়া পেল।
“হ্যালো, কোথায় তুমি?”
“আসবানা আগে বলতা, কেন আমায় মিথ্যে বলে ওয়েট করালা? মজা করলা আমার সাথে? না হয় পরিস্থিতিতে পরে তোমার কাছে খারাপ হয়েছি, তাই বলে কত খারাপ ভাব আমায় তনু? কেন এই অবহেলা করলা? আমি চলে যাচ্ছি.. তুমি ধোঁকা দিলে আমায়..”
“আ রে না, না, আমি আসছি.. বন্ধুরা সব জোর করে ভিজিয়ে দিল তাই...”
“মিথ্যে বল না, আমি গেলাম...”
“যাও, যাও.. তুমি ভাল করেই জানো, অকারণে মিথ্যে আমি বলি না। বরং তোমার জন্যে একগাদা মিথ্যে বললাম আজও, গড! অত রিকোয়েস্ট করতে পারব না। আমি আসছি.. তুমি চাইলে থাক, নয় থেকো না...”
শান্ত তো জানে, এ মেয়ে সাক্ষাৎ আগ্নেয়গিরি! রেগে গেলে পরে হাজার স্যরিতেও কাজ হবে না। নিজেও তো রাগি, তবু ওর সামনে ওরকম বোকা মনে হয় কেন নিজেকে! তাই হার মানতেই হল। পৃথিবীতে এক বাবা, আর এই তনয়াকে ছাড়া কাউকেই ভয় করে না শান্ত। কি আর করা, কপালে অপেক্ষাই লেখা বুঝি আজ!
ঐ যে.. ঐ তো তনয়া। বাপ রে, কেমন থমথমে মুখ! কেন একটুও ভালবাসে না আমায়? অথচ বাসে না.. এমন তো না! আহ, কতদিন পর দেখলাম...
“কি অবস্থা?”
“এক ঘন্টা পঁয়তাল্লিশ মিনিট লেট।”
“এ জন্যে সত্যিই স্যরি! ভীষণ খারাপ লাগছে নিজের কাছে.. যাক গে, কেন আসতে বলেছো?”
শুরু হয়ে গেল ভালবাসার কথা, হাত ধরতে চাওয়া, প্রসঙ্গক্রমে টাকার জন্যে বাসায় বাবার সাথে প্রোব্লেম হবার কথা... ওহ, অসহ্য লাগছে তনয়ার! মাঝে মাঝে আড়চোখে দেখছে শান্ত সত্যিই তনয়ার জামা-কাপড়, চুল ভিজে জবজবে হয়ে আছে; বোকার মত কেন অবিশ্বাস করেছিল ওকে! রোদ উঠেছে, এভাবে হাঁটলে তো ওর ঠান্ডা লেগে যাবে; জ্বর তো নিশ্চিত। কেন যে বাবার রাখতে দেয়া ব্যবসার টাকাটা লাবুকে দিতে গিয়েছিল! কেন যে বাড়িতে থাকতে তনুর কাছ থেকে টাকা নিয়ে আমিরের মায়ের চিকিৎসার জন্যে দিতে গেল! কিন্তু আমির যে ওর মাকে রক্ত দিয়ে বাঁচিয়েছিল, কি করে সে ঋণ শুধবে ও? কি করে বন্ধুদের বিপদে না এগিয়ে পারে? কিন্তু কই আজ যে বাবার টাকা, তনুর টাকা দিতে পারছে না; কোন বন্ধু তো হেল্প করছে না! সব শালারা স্বার্থপর, আর এই শালা শান্ত বাপের ধণে পোদ্দারি করতে গিয়ে.. বাসা, ভালবাসা সব খুইয়ে বসে আছে, কে রাখে তার খোঁজ! জীবনে আর কোন শালার উপকার যদি ও করে তো, কুকুর যেন ওর মুখে পেচ্ছাব করে। কেন তনু বুঝতে চাইছে না ওর সমস্যা? ওর কাছে রেখে যাওয়া বাবার টাকা থেকে কিছু টাকা লাবুকে দেয়ায়, আজ বাবার কাছে ও অপরাধী। ওদিকে বাড়িতে যেতে পারছে না, এদিকে মেসে থাকাও দায় হয়ে পড়েছে ৩ মাসের ভাড়া বাকি পরায়। বাড়িওয়ালা বের হয়ে যাবার নোটিস দিয়েছে ২ দিনের মধ্যে। এরই মধ্যে পিসিটা বিক্রি করতে হয়েছে হাতখরচের টাকা আর খায়-খরচা চালাতে গিয়ে। বাকি বলতে আছে এই মোবাইলটা। সব চেয়ে বড় কষ্ট তনয়ার মাধ্যমে ওর বন্ধুর কাছে থেকে ধার নেয়া টাকাটা শোধ না করতে পারায় অনেক অনেক ছোট হয়ে যেতে হল শান্তকে। তবু কোন মুখে যে বারবার ওর কাছেই টাকা ধার চাইছে! কি করবে? সব নিমক-হারামের দল। আর কোন ব্যাটাই তো এখন কাজে আসছে না। হাহ, বন্ধু! চেনা হয়ে গেল সবাইকে। মোবাইলে তনয়ার কাছে টাকা চাইতে গেলেই তো লজ্জায় ভেতর-বাহির কুঁকড়ে আসতে চায়। এখন, এই মুহূর্তে কি করে চাইবে সামনা-সামনি? কিন্তু আজ একটা কিছু না করতে পারলে যে, নির্ঘাৎ রাস্তায় নামতে হবে! হলেও তো থাকার জো নেই, গেলেই প্রতিপক্ষের হাতে জলজ্যান্ত জানটা তুলে দিতে হবে। মার খেয়ে ওরা যে ক্ষেপে আছে! সামনে পেলে ওর মুন্ডু দিয়ে বলী চড়াবে।
“তনু, ইয়ে.. যদি হাজার পাঁচেক টাকা দিতে.... তাহলে..”
“টাকা? আবারও টাকার প্রসঙ্গ! তোমাকে আর কত বলব শান্ত যে, আমি আর কারো কাছে টাকা ধার চেয়ে ছোট হতে পারব না। জীবনে ঐ প্রথম ও শেষবারের মত শুধু তোমার জন্যে অপ্রিয় একটা কাজ আমি করেছিলাম। বাট আর না, শান্ত। বলেছি তো, টাকা সংক্রান্ত কোন কথা আমায় শোনাতে আসবে না। কি বলিনি?”
“বলেছো, বলেছো.. কিন্তু.. আমি যে নির্ভার হতে চাই। তাই এবারে টাকাটা হলে হয়ত...”
“এর আগেও এসব কথা শুনেছি.. সো স্টপ ইট নাউ, প্লিজ! আ’ম রিয়েলি ফেড আপ..”
অনেক ধরে রেখেছে শান্ত নিজেকে, আর না.. শুরু হয়ে গেল গালাগালি, রেগে-মেগে বলে গেল যা তা। তনয়া প্রচন্ড ঘৃণায়, রাগে.. কাঁপতে লাগল। জ্বর আসছে, টের পাচ্ছে.. তবু ঘামে ভিজে যাচ্ছে মুখ! চোখ স্থির হয়ে আছে শান্তর অশান্ত মুখের ওপর। কোন ঘোরে ছিল শান্ত? এ কি করে বসল ও! তনয়ার চোখে চোখ পরতেই চমক ভাঙ্গল ওর। কেন সামলে রাখতে পারল না নিজেকে? কেন রাগের মাথায় বাজে কথা আর গাল দিয়ে বসল? সর্বনাশ, তনয়ার দৃষ্টিতে রাজ্যের ঘৃণার ছায়া! মুখটা কেমন শক্ত আর রক্ত শুন্য হয়ে গেছে। যেন.. কেউ কষে চড় বসিয়ে দিয়েছে গালে!
“ও গড! ইয়ে.. তনু, মানে আমি.. ঠিক.... আসলে.. বলছিলাম যে.. স্যরি, মাফ করে দাও.. টাকা-পয়সার চিন্তায় মাথা ঠিক রাখতে..”
কথা শেষ হতে দেয়নি তনয়া, হাত তুলে থামিয়ে দিয়েছে শান্তকে। ভীষণ ঘৃণায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে সেই পথে.. যে পথ ধরে একদিন কাছে এসেছিল শান্তর; ভালবেসে ছিল হয়ত, ভাল করতে চেয়েছিল নিশ্চিত। হাজার বছরের মাটিচাপা কয়লা কোন না কোনদিন হীরা হয় সত্যি, কিন্তু.. কয়লা ধুলেই কি ময়লা যায়? কই শান্তর কয়লা-কালির হৃদয়টা তো পারেনি; পারল না তনয়া ধুয়ে দিতে.. ভালবাসায়, ভাল জীবনের আশায়! তাই ফিরে যাচ্ছে তনয়া। এ ভালবাসার শুরুটা কি করে হল ওর জানা নেই, শেষটাও আদৌ শেষ হল কিনা তাও জানা নেই; জানতেও চায় না কিছু আর। কখনও কখনও.. অনেক জানায় বড্ড ক্লান্তি আর অসুখের আনাগোনা। শান্তকে কখনো সত্যিই ভালবেসেছিল কি? কে জানে! তবে.. ধূপকে যে কতটা ভালবাসে, আজ তার সবটাই স্পষ্ট হয়ে গেছে! শান্ত স্তম্ভিত, যেন পাথর হয়ে গেছে। পৃথিবীর আর কেউ কি ওর মত নিজের সর্বনাশের কবরটায় নিজেকে এভাবে সঁপে দিয়েছে কখনও? চারপাশটা অমন অন্ধকার লাগছে কেন? পায়ের তলার মাটিটা কি কেঁপে উঠল? ভেতরটা চিৎকার করছে,
“যেও না, তনু..”
অথচ বাহিরটা যেন বিদ্রোহী হতে চায়, কেমন নির্বাক চোখে বসে থাকে। গত ফেব্রুয়ারী টু এ বছরের আগস্টের প্রতিটি মুহুর্ত যেন একের পর এক বায়োস্কোপের মত চোখের সামনে দিয়ে হাজির হয়েই নাই হয়ে যাচ্ছে! কে যেন কানের ওপাশটায় ফিসফিসিয়ে বলে যাচ্ছে,
“কি চমৎকার দেখা গেল..!”
সব দুঃস্বপ্নের মত লাগছে। বোবায় পাওয়া মানুষের মত মুখ নেড়ে কি যেন বলতে চাইছে গুঙিয়ে গুঙিয়ে! যদি তনয়া এক ছুটে পেছন ফিরে ভীষণ করে একটা নাড়া দিয়ে বলত,
“সব স্বপ্ন, শান্ত। এই তো.. এই যে আমি!”
বুকটা অমন ফাঁকা লাগছে কেন? নাসিম, ডালিম, আতা, নাগীব, বিধানসহ আরও কত রক্তাক্ত মুখ যে চোখে ভাসছে.. যখন ওদের রড দিয়ে পিটিয়েছিল, তখন কি.. ওদের এর চেয়েও বেশি কষ্ট হয়েছিল? এর চেয়েও বেশি! ওর মত একটা নষ্ট মানুষ কি করে এতটা স্পষ্ট করে ভালবাসতে পারে? কেন তনু ওকে বুঝল না? ওর অসহায়ত্বের কারণ খুঁজল না? জীবন কেন এত গোঁত্তা খায়? কেনইবা.. পাক খেতে খেতে.. শুন্য থেকে চূর্ণ হয়.. প্রত্যাশার বুকে এসে?
কাকে বোঝাবে.. বুকের আগুনে বুক পুড়ে ছাই! মনে মনে মানুষগুলোর ভেতরটায়.. কত ঘটনাই না ঘটে! তার সবটা কি রটে? রটে না। সব ঘটার আগেই.. অঘটনের ছটায়.. জটা পাকিয়ে হারিয়ে যায়.. কিছু কিছু তার। বঙ্গপোসাগরের বিশাল সব জাহাজগুলোর.. একটাও যদি সাইরেন বাজিয়ে বিকট শব্দে আলো ফেলে যেত.. মনের কোণে, তবে না জানি.. কত বনে জ্বলতো বিভৎস আঁধারের বিপরীতে শত উৎস ফোটানো আলো! যখন গল্পটা শুনতে শুরু করেছিলাম; ভেবেছিলাম, ভালবাসার বুঝি। শেষে বুঝেছিলাম, গল্পটা জীবনের; যা সুখের হতেই পারত! ভেনিজুয়েলার একটা প্রবাদ কানে বাজছে যেন -- মানুষ যখন ভাবে, ঈশ্বর তখন হাসেন.. ... ...
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
jebon nesa hena পড়তে একটু কষ্ট হয়েছে, কিন্তু গল্পটা সুন্দর.........................
খোরশেদুল আলম অনেক ভালো ভালো মন্তব্য আছে, আমার কাছে খুব ভালো লাগলো আপনার লেখা, শুভকামনা আপনার জন্য।
মোঃ আক্তারুজ্জামান ব্যতিক্রমী লেখা তাই ব্যতিক্রমী ভালো লাগাও আছে আপনার গল্পে| আপনার কবিতাগুলিও আমার কাছে গতানুগতিক মনে হয় না- অনেকটা স্বকীয়তায় উজ্জল! ধন্যবাদ|
আহমেদ সাবের গতানুগতিক গণ্ডীর বাইরের একটা অসাধারণ গল্প। বুঝা যাচ্ছিলো না, ঘটনাটা কোন দিকে মোড় নিচ্ছে। ভালবাসার এমন পরিণতি হবে, শুরুতে ভাবতে পারিনি। কষ্টটা দু জনেরই।
তমসা অরণ্য বন্ধু সকল, সময়ের স্বল্পতার জন্যে ও ব্যক্তিগত কর্মব্যস্ততার জন্যে সবার কমেন্টের রিপ্লাই না দিতে পারার জন্যে আনরিক ভাবে দুঃখিত। ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টির কামনায়............ ধন্যবাদ!
সৌরভ শুভ (কৌশিক ) গল্পটা সুখের হতে পারত!সেটা কি কষ্ট সংখায় মানাতো ?
মোঃ ইকরামুজ্জামান (বাতেন) আমার মন্তব্য টা ঠিক সূর্য ভাইয়ের মতই । গল্পটা পড়ে একটা দ্বিধায় আছি কষ্টটা বেশি কার তনুর না শান্তর? ফরমেটিংটা একটু শোধরানো দরকার। প্যারায় বেশ কিছুটা গ্যাপ থাকলে মনিটরে পড়ার সুবিধে। অনেক শুভকামনা থাকলো। আর হ্যা ঘটনাটাকি সত্যি?
শাহ্‌নাজ আক্তার পড়লাম, ভাবলাম অতপর জয় করলাম এই ভেবে . এই যে দুনিয়া , কিসের ও লাগিয়া এত যত্নে গড়াইআছে সাই .............
Israt সুন্দর. শুভকামনা রইলো

০৯ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪